স্টাফ রিপোর্টার, চকরিয়া ::
চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালীতে সামাাজিক বনায়নের জমি নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় উভয় পক্ষের ৬জন আহত হয়েছে। এঘটনায় ৮জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে দশটায় উপজেলার ফাঁশিয়াখালী ৫নং ওয়ার্ড দক্ষিণ ঘুণিয়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চকরিয়া উপজেলার ফাঁশিয়াখালী রেঞ্জ এর সংরক্ষিত বনাঞ্চলে স্থানীয় ২৫জন ভূমিহীনকে ২৫ একর জমি সামাজিক বনায়নের জন্য জমি বরাদ্দ দেন। ইতোমধ্যে ২৫একর জমির জন্য ২৫টি দলিল তাদেও নামে সৃজনের কার্যক্রম শেষ হয়েছে। উপকারভোগীরা বরাদ্দকৃত জমিতে নানা রকম গাছের চারা রোপন করেছে। কয়েকজন উপকারভোগী জানান, উপকারভোগীরা বনায়নের জন্য ঘেরা বেড়ার কাজ করছেন। শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে স্থানীয় বাবুল শিকারীর পুত্র মোহাম্মদ ফরহাদ, কলিম উল্লাহর পুত্র গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০-১২জন ভূমিদস্যু বনবিভাগের বরাদ্দকৃত জমি তাদের বলে দাবী করে কাজে বাধা দেন। উপকারভোগীদের নামে নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানানোর পর আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয় তারা। অতর্কিতভাবে ভূমিদস্যু ফরহাদ উপকারভোগী মকছুদ আহমদের উপর দিকে তেড়ে আসে।
একপর্যায়ে ভূমিদস্যু ফরহাদ ও গিয়াস উদ্দিনের নেতৃত্বে দা, কিরিছ, লোহার রট নিয়ে হামলা চালায়। এসময় মৃতু শের আলমের পুত্র হামিদুল হক (৪০), আমির হোসেনের পুত্র মকছুদ আহমদ (৩৬) এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত তারা। ভূমিদস্যুরা আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে তিন রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে আহত হন জাফর আলমের পুত্র আলমগীর (৪০), নুরুল আলমের পুত্র এয়ার খান ভূট্টো (৩০) গুরুতর আহত হন। এসময় ভূমিদসূরা তাদের কাছ থেকে দামী ঘড়ি, মোবাইল, নগদ টাকা সহ মোট ৮২ হাজার টাকা লুটে নিয়ে যিায়। এঘটনায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল রবিবার আহত হামিদুল হক বাদী ৮জনের নাম উল্লেখ করে চকরিয়া থানায় মামলায় দায়ের করেছেন।
পাঠকের মতামত: